প্রশ্নঃ 1
স্যার, যদি ঈদের নামাজে ইমাম ২য় রাকাতে ঈদের নামাজের তাকবির না দিয়েই রুকু তে চলে যায়, এবং মুক্তাদিরা লোকমা দেওয়ার পরে তাকবির দেয়,তোহলে সে ক্ষেত্রে নামাজের কোন ক্ষতি হবে কিনা? আর ঈদের নামাজে সাহু সিজদা দেওয়া যাবে কিনা? জানতে চাই।
24 Dec 2025
বিষয়টি বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন: ঈদের সালাতে ভুল হলে কি সাহু সিজদাহ দিতে হবে?
প্রশ্নঃ 2
মুহতারাম আস সালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন: একটা গরু দিয়ে কয়জন এর আকিকা দেওয়া যাবে? আলহামদুলিল্লাহ গত সপ্তাহে আমার একটা কন্যা সন্তান হয়েছে। আমার ভাই এর দুইটা সন্তান (এক ছেলে, এক মেয়ে) আছে। কিন্তু উনি তাদের আকিকা দেন নাই। একটা গরু দিয়ে কি এই তিন জনের আকিকা দেওয়া যবে? আমার দাদি আমার আকিকা দিয়েছিল আমার ফুফুর বিয়ের সময়। এটা কি সহিহ হবে, যদি না হয় তবে আমাকে কি আবার আমার আকিকা দিতে হবে?
23 Dec 2025
ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আকীকার ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো ছাগল, ভেড়া বা এজাতীয় পশু জবেহ করা। ছেলের জন্য দুটি আর মেয়ের জন্য একটি। তবে ছেলের জন্যও একটা দেয়া যায়, এটা হাদীসে আছে। সকল ক্ষেত্রে আমাদের সুন্নাতের অনুস্বরণ করা উচিৎ। গরু দিয়ে আকীকা রাসূলুল্লাহ সা. কিংবা সাহাবীগণ করেননি। তবে আলেমগণ গরু দিয়ে আকীকা করাকে জায়েজ বলেছেন।আবার এক পশুতে একাধিক আকীকাও সাহবীগণ দেননি। তবে আলেমগণ কুরবানীর উপর কিয়াস করে বলেন, বড় পশুতে একাদিক কুরবানী দেয়া জায়েজ। সে হিসেবে প্রশ্নেল্লিখেত তিন জনের জন্য একটি গরু যথেষ্ট হবে।
প্রশ্নঃ 3
আমরা অনেকেই কোরবানির পশুর ভুঁড়ির কোনও ভাগ কিন্তু মাংস ভাগের নিয়ম অনুযায়ী করি না । । এইটা কতটা সঠিক।
23 Dec 2025
প্রশ্নটি স্পষ্ট নয়। যদি এক পশুতে কয়েকজন ভাগে কুরবানী দেন তাহলে ভুঁড়িও সমান ভাগ করতে হবে। আর যদি গরীবদের জন্য দেয় ভাগ উদ্দেশ্যে হয় যতটা সম্ভব কুরবানীর গোশত-ভূড়ি গরীবদেরকে দিতে হবে। এক্ষেত্রে শরীয়ত আমাদেরকে কোন পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়নি। তবে আমারা যেভাবে বন্টন করি তা ভাল। সুতরাং ভুড়ির ভাগ মাংসের ভাগের মত না করলেও কোন সমস্যা নেই। এতে কুরবানীর কোন সমস্যা হবে না।কুরবানী দ্বারা আমাদের উদ্দ্যেশ্য হতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করা। প্রশ্নটি স্পষ্ট নয়। যদি এক পশুতে কয়েকজন ভাগে কুরবানী দেন তাহলে ভুঁড়িও সমান ভাগ করতে হবে। আর যদি গরীবদের জন্য দেয় ভাগ উদ্দেশ্যে হয় যতটা সম্ভব কুরবানীর গোশত-ভূড়ি গরীবদেরকে দিতে হবে। এক্ষেত্রে শরীয়ত আমাদেরকে কোন পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়নি। তবে আমারা যেভাবে বন্টন করি তা ভাল। সুতরাং ভুড়ির ভাগ মাংসের ভাগের মত না করলেও কোন সমস্যা নেই। এতে কুরবানীর কোন সমস্যা হবে না।কুরবানী দ্বারা আমাদের উদ্দ্যেশ্য হতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করা।
প্রশ্নঃ 4
১. কোরবানী কি সচ্চল পরিবারের প্রধানের উপর ওয়াজিব নাকি যার কাছে নিছাব পরিমান সম্পদ আছে (জিলহজ্বের ১০-১১-১২ তারিখ পর্যন্ত) তার উপর। নিছাবের কথাটি কি হাদিস থেকে এসেছে নাকি ওলামাদের ফাতোয়া? পরিবারের সজ্ঞা কি? ২. সামর্থ্য তাকলে পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সকলের কি কোরবানী করতে হয়? ৩. স্বামী স্ত্রী দুইজনের কাছে আলাদাভাবে নিছাব পরিমান সম্পদ আছে কিন্তু তাদের পরিবারের প্রাপ্তবয়স্কের সংখ্যা ৫ জন। এই ৫ জনের ন্যুন্যতম কোরবানীর হকুম ক? ৪. ১টি উট বা গরু দিয়ে ৭ জনের কোরবানী বলতে কি ৭ জন নিছবের মালিক, সামর্থ্যবান পরিবারের প্রধানকে বুঝায়? নাকি প্রত্যেক নিছাবের মালিকের/সামর্থ্যবানের পরিবারের সদস্যও উন্তর্ভুক্ত? ৬. মহিষ দিয়ে কোরবানী করার হাদিস কি? ৭. মা বাবা জিবীত, বাবার সম্পদ আছে কিন্তু মার নাই; সন্তানের উপর এর হকুম কি? ৮. রাসুলের এবং মৃত ব্যক্তির কোরবানী করার হকুম কি? ৯. কোরবানীতে আঁকিকা দেয়া কেন বৈধ হবে বা হবে না? কয়টি কোরবানী এক ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সমান হবে? সহী হাদিসের আলোকে উত্তর দিলে উপকৃত হব। ভিডিও ক্লিপ বা লিঙ্ক এখন অনেকের মত আমার কাছে ও বিরক্তিকর। text এ হলে তা সংগ্রহে রাখা ও শেয়ার করা সহজ হয়। কেউ আন্দজিক, অসুবিধা নাই কিংবা ফাতোয়া জাতীয় উত্তর না দিলেই খুশি হব।
23 Dec 2025
জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখে আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে উত্তম আমল হলো কোরবানী করা। কোরবানীর বিভিন্ন বিষয়ে আলেম ও ইমামগণের মাঝে মতভেদ আছে। এখানে আমরা কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিষয়গুলো আলোচনা করছি। ১। কুরআনুল কারীমের সূরা কাওসারে আল্লাহ তায়ালা কুরবানীর আদেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত) من كان له مال فلم يضح فلا يقربن مصلانا و قال مرة : من وجد سعة فلم يذبح فلا يقربن مصلانا অর্থ: যার সাধ্য ছিল কুরবানী দেওয়ার, কিন্তু দিল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে উপস্থিত না হয়। মুসতাদরক হাকীম, হাদীস নং ৭৫৬৫; সহীহুত তারগীব লিল আলবানী, ১/২৬৪। হাকীম ও যাহাবী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আলবানী হাসান বলেছেন। উপরুক্ত আয়াত ও হাদীসের ভিত্তিতে মনে হয় যে, কুরবানী করা ওয়াজিব। যদিও অনেক ইমাম ও আলেম কুরবানীকে সুন্নাত বলেছেন। ২। কুরবানী সবার উপর ওয়াজিব নয়। বরং যার সামর্থ আছে তার উপর ওয়াজিব। উপরের হাদীস থেকে আমারা তা বুঝতে পারি। এই সামর্থ্য শব্দটিকেই নিসাব শব্দে বলা হয়। সামর্থ কখন হবে কিংবা নিসাব পরিমাণ সম্পদ কতটুকু এই ব্যাপারে হাদীসে স্পষ্ট কিছু নেই। এই কারণেই আলেমগনের মধ্যে এব্যাপারে মতভেদ হয়েছে। এই বিষয়ে আলেমগণের মতামত জানতে দেখুন, আল-ফিকহুল ইসলামিয়্যু ওয়া আদিল্লাতুহু, ৩/৬০১। ৩। উপরের হাদীস থেকে আমরা জানলাম যে, সামর্থ্য আছে এমন প্রত্যেকের উপর কোরবানী ওয়াজিব। আর সামর্থ্য বলতেই নিসাব বুঝানো হয়। এ থেকে জানা যায় যে, স¦ামী এবং স্ত্রীর উভয়ের সামর্থ্য থাকলে উভয়ের উপরই কোরবানী ওয়াজিব। কারো কুরবানী অন্যের জন্য যথেষ্ট হবে না। নিচের হাদীস দুটি লক্ষ্য করুন: عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ هِشَامٍ ، وَكَانَ قَدْ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَذَهَبَتْ بِهِ أُمُّهُ زَيْنَبُ ابْنَةُ حُمَيْدٍ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ بَايِعْهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَغِيرٌ فَمَسَحَ رَأْسَهُ وَدَعَا لَهُ ، وَكَانَ يُضَحِّي بِالشَّاةِ الْوَاحِدَةِ عَنْ جَمِيعِ أَهْلِهِ. অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে হিশাম থেকে বর্ণিত (তিনি রাসূলুল্লাহ সা. কে পেয়েছিলেন), তারা আম্মা যায়নাব বিনতে হুমাইদ তাকে রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সা. কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি ওকে বায়াত করুন। তখন রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, সে তো ছোট। তিনি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তার জন্য দোয়া করলেন। আর তিনি তার পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দ্বারা কুরবানী করেছিলেন। সহীহ বুখারী হাদীস নং ৭২১০। أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ ، اشْتَرَى كَبْشَيْنِ عَظِيمَيْنِ ، سَمِينَيْنِ ، أَقْرَنَيْنِ ، أَمْلَحَيْنِ مَوْجُوءَيْنِ ، فَذَبَحَ أَحَدَهُمَا عَنْ أُمَّتِهِ ، لِمَنْ شَهِدَ لِلَّهِ ، بِالتَّوْحِيدِ ، وَشَهِدَ لَهُ بِالْبَلاَغِ ، وَذَبَحَ الآخَرَ عَنْ مُحَمَّدٍ ، وَعَنْ آلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ. অর্থ: রাসূলুল্লাহ সা. যখন কুরবানী দেয়ার ইচ্ছা করতেন তখন দুটি বিশাল বড় সাইযের সুন্দর দেখতে খাসী করা কাটান দেওয়া পুরুষ মেষ বা ভেড়া ক্রয় করতেন। তাঁর উম্মতের যারা তাওহীদ ও তাঁর রিসালাতের সাক্ষ দিয়েছেত তাদের পক্ষ থেকে একটি কুরবানী করতেন এবং অন্যটি মুহাম্মাদ সা. এবং মুহামাদ সা. এর পরিবারের পক্ষ থেকে কুরবানী করতেন। ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৩১২২; মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ২৫৮২৫। হাদীসটি হাসান। এই হাদীস দুটির ভিত্তিতে ইমাম মালেক, ইমাম আহমাদ প্রমুখ ফকীহ বলেন একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি কুরবানী যথেষ্ট হবে। দেখুন, সুনানু তিরমিযী, হাদীস নং ১৫৮৭; তুহফাতুল আহওযী, ১৪২৫ নং হাদীসের আলোচনা; মুয়াত্তা মালিক,হাদীস নং ১০৩৩। পরিবার বলতে স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তানদের বুঝায়। আর সাধারনত একটি পরিবারে পরিবার প্রধানের উপরই কুরবানী ওয়াজিব হয়। সুতরাং এই হাদীস দুটি দ্বারা স্পষ্ট ভবে প্রমাণিত হয় না যে, পরিবারের অন্য সদস্যদের সামর্থ থাকলেও একটি কুরবানীই সকলের জন্য যথেষ্ট হবে। পক্ষান্তরে প্রথম হাদীসে আমরা দেখেছি যার সামর্থ্য আছে সেই কুরবানী দিবে। এজন্য ইমাম আবূ হানীফা, আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক প্রমুখ ফকীহ একই পরিবারেও একাধিক ব্যক্তির সামর্থ্য থাকলে প্রত্যেকের জন্য কুরবানী দেওয়া প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন। মহান আল্লাহই ভাল জানেন। শেষ কথা: মানুষের জীবনের সমস্যা ব্যাপক। কুরআন হাদীস সীমিত । তাই অনেক কিছুই সরাসরি কুরআন বা হাদীস থেকে পাওয়া যায় না। আর আমরা আপনার প্রশ্নের যে উত্তর দিলাম এটাই ফতোয়া। সুতরাং সবকিছু সহীহ হাদীস দ্বারা দিতে হবে, ফতোয়া দেয়া যাবে না এমন কথা না বলাই শ্রেয়। যেসব ব্যাপারে হাদীস পাওয়া যায় না সেসব বিষয়ে মুজতাহিদ আলেমগণের কথায় আমাদের মানতে হবে। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। তিনিই সব বিষয়ে ভাল জানেন। এক সাথে এত প্রশ্ন করবেন না। বাকী প্রশ্নগুলো পরবর্তীর্তে আবার করবেন।
প্রশ্নঃ 5
আমাদের দেশের প্রচলিত ফাতোয়া হল কুরবানীর সাথে এক ভাগা দিয়ে আকিকা দেয়া জায়েজ। আমার প্রশ্নঃ এই ফাতোয়ার ভিত্তি কুরাআন ও হাদিসে আছে কি না? থাকলে জানাবেন।
23 Dec 2025
ওয়া আলাইমকুমুস সালাম। কুরবাণী ও আক্বীকা একই পশু দ্বারা দেয়া জায়েজ আছে কিনা তা নিয়ে মতভেদ আছে। একদল আলেম বলেন,জায়েজ আছে অন্য অরেক দল বলেন জায়েজ নেই। যারা বলেন জায়েজ আছে তাদের বক্তব্যের মূল ভিত্তি হলো, কুরআনের একটি আয়াত। তা হলো, قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ অর্থ: আপনি বলুন, নিশ্চয় আমার সালাত, আমার নুসুক আমার জীবন, আমার মরন সবই বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহরা জন্য। সূরা আন-য়াম, আয়তা ১৬২। উক্ত আয়াতে নুসুক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আভিধানিক অর্থে নুসুক বলা হয় এমন পশুকে যা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের জন্য জবেহ করা হয়। দেখুন, আল-মুজামুল ওয়াসীত, পৃষ্ঠা ৯৫৭। আর কুরবানী ও আক্বীকা উভয়টি দ্বারাই যেহেতু আল্লাহ তায়ালা নৈকট্য লাভ উদ্দেশ্য তাই একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীকা করা জায়েজ হবে। উল্লেখ হানাফী ও শাফেয়ী মাজহাবের আলেমগন এটাকে জায়েজ বলেছেন। তবে সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে আকীকা জন্মের সপ্তম দিনে ছাগল বা এ জাতীয় ছোট পশু দিয়ে দেয়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সা. কিংবা সাহাবীগণ গরু বা উট দিয়ে কখনো আকীকা দেন নি। আমাদের উচিৎ সুন্নাতের অনুসরন করা।
প্রশ্নঃ 6
১. কুরবানি ও আকিকা একই পশু দিয়ে হবে কিনা? ২. কুরবানির দিন এটি আদায় করা য়াবে কিনা? ৩.একটি পশু এর আনেক গুলো ভাগ থাকে,(হতে পারে ৩,৫,৭,টি) ৪. কুরবানির আংশিদারের ক্ষেত্রে কিভাবে এটি নির্বাচন করা যাবে?
23 Dec 2025
একই পশু দ্বারা কুরবানী ও আক্বীকা এবং কুরবানীর দিনে আক্বীকা রাসূলুল্লাহ সা. কিংবা সাহাবীদের থেকে পাওয়া যায় না।আক্বীকা সন্তান জন্ম হওয়ার আনন্দ আর কুরবানী ভিন্ন আনন্দ, দুটিকে এক করে ফেলা উচিৎ নয়। আমাদের উচিৎ সুন্নাত অনুযায়ী আলাদা দিনে আলাদা পশু দ্বারা আক্বীকা করা । তবে ফকিহগণ বলেছেন যদি কেউ কুরবানীর দিনে আক্বীকা দেয় কিংবা একই পশু দ্বারা কুরবানী ও আক্বীকা দেয় তাহলে জায়েয হবে। প্রশ্নের বাকী অংশ স্পপষ্ট নয়। নতুন করে স্পষ্ট করে প্রশ্ন করুন।
প্রশ্নঃ 7
কেউ যদি ঈদ-উল ফিতর পালনের জন্য গ্রামের বাড়ীতে যায় সে কী কসর সালাত আদায় করবে?
22 Dec 2025
যদি তার গ্রামে বাড়ী-ঘর থাকে, পিতা-মাতা বা আত্মীয়-স্বজন থাকে তবে সে সালাত কসর করবে না, পুরো নামায আদায় করবে।আর যদি সেখানে তার বাড়ী-ঘর না থাকে এবং তিনি অন্য কোথায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন তাহলে সে গ্রামের বাড়িতে এসে পনের দিনের কম থাকার নিয়ত করলে কসর সালাত আদায় করবে।
প্রশ্নঃ 8
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মুহতারাম, ঈদের নামায সহীহ হওয়ার জন্য ঈদের মাঠ ওয়াক্ফ হওয়া শতী কিনা? কুরআনের হাদীসের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
20 Dec 2025
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। উক্ত ঈদের মাঠে ঈদের নামাজ সহীহ হবে। ঈদগাহের জন্য ওয়াক্বফকৃত জমি হওয়া শর্ত নয় বরং ব্যক্তি মালিকানায় রয়েছে এমন জমিতেও ঈদের নামাজ আদায় হবে। আর ঈদগাহ ওয়াক্বফকৃত হোক বা না হোক উভয় অবস্থায় নামাজের সাওয়াবের মধ্যে কোন কম বেশি হবে না। প্রমাণ جاء في بفتح الباري (2/44كتاب العيدين)عن أبي سعيد الخدري قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يخرج يوم الفطر والأضحى إلى المصلى فأول شيئ يبدأ به الصلاة ...إلخ .
ঈদগাহের জন্য জমি ওয়াক্বফ শর্ত নয়ঃ সাধারণভাবে যে সকল শর্ত পাওয়া গেলে জুমআর সালাত ওয়াজীব হয় সে সকল শর্ত পাওয়া গেলে ঈদের সালাতও ওয়াজীব হয়। যেমন ঈদের সালাত এমন স্থানে আদায় করতে হবে, যেখানে সকলের প্রবেশ করার সাধারণ অনুমতি রয়েছে। তবে ঈদগাহের জমি ওয়াক্বফ হওয়া শর্ত নয় বরং মালিকানাধীন জায়গায় মালিকের অনুমতিতে ঈদের সালাত আদায় করা বৈধ হবে। (ফতুয়ায়ে মাহমুদিয়া, ১২/৪৭৭-৪৭৮) এমনকি ঈদগাহ ব্যতীত যে কোন সাধারণ মাঠেও ঈদের সালাত আদায় করা বৈধ। সরকারী মাঠে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে ঈদের সালাত আদায় করা যাবে। (ফতুয়ায়ে মাহমুদিয়া, ১২/৪৮২-৪৮৩)
ঈদগাহের জমি ওয়াক্বফ হওয়া না হওয়ার পার্থক্যঃ ঈদগাহের জমি ওয়াক্বফ হওয়া না হওয়ার পার্থক্য হল, ওয়াক্বফিয়া ঈদগাহে কোন হস্তক্ষেপ বৈধ নয়। পক্ষান্তরে ঈদগাহ ওয়াক্বফ করা না হলে ঈদগাহ স্থানান্তর করে উক্ত জায়গাকে মসজিদ, মাদরাসা বা যে কোন কাজে মালিক ব্যবহার করতে পারবে। তবে ঈদগাহের জমি ওয়াক্বফিয়া হওয়া না হওয়ার সাথে ঈদের সালাতের সাওয়াবের কোন তারতম্য হবে না। (ফতুয়ায়ে মাহমুদিয়া, ১২/৫১৪)