প্রশ্নঃ 1
এখনকার ফুরফুরা শরীফ সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
23 Dec 2025
ফুরফুরার প্রথম ও মূল পীর আবু বকর সিদ্দিকী রহি. মারা গেছেন ১৯৩৯ ইং সনে। এরপর তার সন্তানগণ বহু পথ ও মতে বিভক্ত হয়েছেন। তাঁর বড় ছেলে ছিলেন আব্দুল হাই সিদ্দিকী। তিনি ১৯৭৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বড় ছেলে ছিলেন আব্দুল কাহহার সিদ্দীকী। তিনি ২০০৬ সালে মৃত্যু বরণ করেন। আব্দুল কাহ্হার সিদ্দীকী শিরক-বিদআতের কঠোর বিরোধী ছিলেন। তার দরবার ও ভক্তদের মধ্য থেকে দিন শিরক বিদআত উৎখাতের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেন। তাঁর ছেলে আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী পিতার স্থলে কাজ করছেন। তিনিও শিরক বিদআত থেকে মুক্ত থাকতে সদা-সচেষ্ট। তবে এর পাশাপাশি বর্তমানের ফুরফুরার মূল পীর আবু বকর সিদ্দিকীর বংশধরদের মধ্যে অনেকেই বিদআতের পক্ষে সোচ্চার। বিস্তারিত জানতে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখিত ফুরফুরার পীর আবু জাফর সিদ্দিকী রচিত আল মাউযুআত বইটি পড়ন।
প্রশ্নঃ 2
আসসালামু আলাইকুম, বর্তমানে হাফেজা,আলেমা ও দীনদার মুসলিম বোনরা ফেসবুকের মাধ্যমে দীন প্রচার করছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ফেসবুকে দীন প্রচারের জন্য ইসলামের কোন মূলনীতি গুলো মেনে চলতে হবে
23 Dec 2025
ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আলাদা কোন মূলনীতি অনুস্বরণ করতে হবে না। বরং সাধারণ যে মূলনীতি আছে সেগুলো মেনে চললেই হবে। কারো অহেতুক সমালোচনা না করে ইসলামের সহীহ বিষয়টি মানুষকে জানাতে হবে। কথা যেন যুক্তি ভিত্তিক ও দলীল ভিত্তিক হয় সেদিকে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে।
প্রশ্নঃ 3
May the peace of allah be upon on you,.i am from west bengle, mursidabad.. Amar prasna -about taqdir ami jantam je (1) allah manus create korechen .2)manur ke free will dewa ache and 3) according to this the exam would be happend ..,. But in your book i have gotten 1) allahor will and knowladge a sob hoi (islami aqida-pg-344,346) 1) allah knows all.2) alahor capture a sob. These are in my knowldge but sir i dont understand that sob allaho ichchai hoi..wassalam
23 Dec 2025
আল্লাহর বিশেষণের বিষয়ে বৈপরীত্য কল্পনার একটি দিক তাকদীর। কুরআন ও হাদীস থেকে আমরা আল্লাহর অনাদি-অনন্ত, সর্বব্যাপী জ্ঞানের কথা, তাঁর ক্ষমতা ও ইচ্ছার কথা জানতে পারি এবং পাশাপাশি আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা, ন্যায়বিচার ও করুণার কথা জানতে পারি। অনেকে এ দু বিশেষণের মধ্যে বৈপরীত্য কল্পনা করেছেন। প্রথম বিশেষণের মাধ্যমে আমরা জানি যে, মহান আল্লাহর অনাদিকাল থেকে তাঁর সৃষ্টির মধ্যে কে, কখন, কিভাবে কি কর্ম করবে তা সবই জানেন। আমরা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে জানি যে, মহান আল্লাহ তাঁর এ জ্ঞান লাওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ করে রাখেন। আমরা আরো জানি যে, মহান আল্লাহর রুবূবিয়্যাতের ন্যূনতম দাবি যে, তাঁর জ্ঞানের অগোচরে ও ইচ্ছার বাইরে পৃথিবীতে কিছুই ঘটতে পারবে না। এ থেকে কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, তাহলে মানুষ যা কিছু করে তা আল্লাহর নির্দেশেই করে, কাজেই মানুষের কর্মের জন্য তাকে অপরাধী বলে গণ্য করা যায় না। এরা মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা, আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা ও কর্মফল বিষয়ক আয়াত ও হাদীসগুলো বিভিন্ন ব্যাখ্যা করে বাতিল করেন। অপরদিকে কেউ কেউ মনে করেন যে, আল্লাহর জ্ঞান, লিখন ও ইচ্ছার এ সকল বিষয় তাঁর ন্যায়পরায়ণতার বিশেষণের সাথে সাংঘর্ষিক। কাজেই ন্যায়পরায়ণতার বিশেষণ গ্রহণ করে অন্যান্য বিশেষণ ব্যাখ্যা করে বাতিল করতে হবে। আসলে এ সবই আল্লাহর বিশেষণকে মানুষের বিশেষণের সাথে তুলনা করার ফল। আল্লাহর ক্ষেত্রে তাঁর সর্বব্যাপী জ্ঞান, লিখনি ও ইচ্ছার সাথে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা, ও ন্যায়বিচারের কোনোরূপ বৈপরীত্য নেই। মুমিন সরল ও সহজ অর্থে উভয় প্রকারের বিশেষণ বিশ্বাস করবেন। সমন্বয়ের জন্য এ বিষয়ক মূলনীতি অনুসরণ করবেন। কোনোভাবেই একটি প্রমাণ করার জন্য অন্যটি ব্যাখ্যা করে বাতিল করবেন না। তাকদীরে বিশ্বাস অর্থ আল্লাহর জ্ঞান ও আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা উভয় বিশেষণে সমানভাবে বিশ্বাস করা। আল্লাহর নির্ধারণে অবিশ্বাস করলে আল্লাহর জ্ঞান ও ক্ষমতায় অবিশ্বাস করা হয়। আর মানুষের স্বাধীন ইচ্ছায় অবিশ্বাস করলে আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা ও করুণায় অবিশ্বাস করা হয়। এ অবিশ্বাসের শুরু মহান আল্লাহর বিশেষণ ও কর্মকে মানুষের বিশেষণ বা কর্মের মত বলে বিশ্বাস করা থেকে। আল্লাহর সকল বিশেষণ সমানভাবে প্রত্যয়ের সাথে বিশ্বাস করলে এ বিষয়ে কোনো অস্পষ্টতা থাকে না। একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। মনে করুন, আল্লাহর নির্ধারণ যে, বিষ মৃত্যু আনে। মানুষকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন যে, বিষ মৃত্যু আনে। এরপরও কেউ বিষ পান করলে সে মৃত্যু বরণ করবে। তবে তা আল্লাহর ইচ্ছা ও জ্ঞান অনুসারে ঘটবে। আল্লাহ তাঁর অনন্ত জ্ঞানে জানেন যে, নির্দিষ্ট ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময়ে স্বেচ্ছায়, বাধ্য হয়ে, জেনে বা না-জেনে বিষ পান করবে। তিনি তাঁর এ জ্ঞান লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি ইচ্ছা করলে ঐ ব্যক্তির ইচ্ছা শক্তি হরণ করে তাকে বিষপান থেকে বিরত রাখতে পারেন বা বিষের ক্রিয়া নষ্ট করে বিষপানকারীকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে পারেন। আল্লাহর জ্ঞান, লিখনি বা তাকদীর অনুসারে বিষপানকারীর মৃত্যু আসবে অথবা আসবে না। বিষপানকারী বিষপানে তার ইচ্ছা, অনিচ্ছা ও কর্ম অনুসারে পাপ বা পুণ্য লাভ করবে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন, আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত আল-ফিকহুল আকবার পৃষ্ঠা ১৭৮-১৮৩।
প্রশ্নঃ 4
Sir, I request for you. Please answer the question. Furfura pir said that, Fufura established free from Shirk Bidyat. Now, dear sir,I want to know about Furfura established free from Shirk Bidyat. Please give evidence for Quran Sunnah. Thanks
22 Dec 2025
ফুরফুরার প্রথম ও মূল পীর আবু বকর সিদ্দিকী রহি. মারা গেছেন ১৯৩৯ ইং সনে। এরপর তার সন্তানগণ বহু পথ ও মতে বিভক্ত হয়েছেন। তাঁর বড় ছেলে ছিলেন আব্দুল হাই সিদ্দিকী। তিনি ১৯৭৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বড় ছেলে ছিলেন আব্দুল কাহহার সিদ্দীকী। তিনি ২০০৬ সালে মৃত্যু বরণ করেন। আব্দুল কাহ্হার সিদ্দীকী শিরক-বিদআতের কঠোর বিরোধী ছিলেন। তার দরবার ও ভক্তদের মধ্য থেকে দিন শিরক বিদআত উৎখাতের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেন। তাঁর ছেলে আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী পিতার স্থলে কাজ করছেন। তিনিও শিরক বিদআত থেকে মুক্ত থাকতে সদা-সচেষ্ট। তবে এর পাশাপাশি বর্তমানের ফুরফুরার মূল পীর আবু বকর সিদ্দিকীর বংশধরদের মধ্যে অনেকেই বিদআতের পক্ষে সোচ্চার। বিস্তারিত জানতে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখিত ফুরফুরার পীর আবু জাফর সিদ্দিকী রচিত আল মাউযুআত বইটি পড়ন।
প্রশ্নঃ 5
আমাদের এলাকায় চরমোনাই পীরের অনেক অনুসারী। এবিদআতী অনুসারীরা ইদানিং মহিলাদের দিয়ে দল গঠন করে বাড়ী বাড়ী যেয়ে চরমোনাই পীরের লেখা বই দিয়ে অসচেতন-অর্ধ শিক্ষিত মহিলাদের ধর্ম পালনের জন্য তালিম দিচ্ছে। এঘটনা বর্ননা দিয়েছেন আমার মা। আমার মাসহ আরো কিছু আলিম-ফাজিল পাশ মেয়েদের নিয়ে দাওয়াতী কর্যক্রম চালাতে চায়। এ তালিমী বা দাওয়াতী কর্যক্রম চালাতে তারা কোন কিতাব-এর অনুসরন করবে? আমাকে কোরআন ও সহি হাদিসের আলোকে এমন একটি #কিতাব#-এর নাম জানান, যে #কিতাব# থেকে তারা অতি সহজে মা-বোনদের বুঝাতে পারে।
22 Dec 2025
কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সহীহ দাওয়াত দেয়ার জন্য অন্য কোন দল বা মতের সমালোচনা মূলত কোনো ভাল ফল দেয় না। এতে এসকল দলের কেউ পরিবর্তনও হয় না। আমাদের দায়িত্ব হলো আমাদের সাধ্যমত সহীহ দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আপনি কুরআন কারীম ও সহীহ সুন্নাহ নির্ভর দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। এজন্য সংক্ষিপ্ত ভাল কোনো তাফসীরের গ্রন্থ গ্রহণ করবেন। যেমন তাফসীর তাওযীহুল কুরআন। সহীহ হাদীসগ্রন্থগুলোর মধ্যে রিয়াদুস সালিহীন গ্রন্থটি সংক্ষেপ ও উপকারী। এরপর আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট প্রকাশিত ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখিত রাহে বেলায়াত ও এহইয়াউস সুনান গ্রন্থ দুটি রাখতে পারেন। এছাড়া উপকারী সহীহ পুস্তক অনুসন্ধান করতে থাকুন।