প্রশ্নঃ 1
Assalamualikum, অমার কিছু প্রশ্ন ১. সফরে থাকা অবস্থায় কি অবশ্যই সালাত কসর করতে হবে?২. প্রসাব-পায়খানার পরে কি ঢিলা ও কুলুপ দুইটিই ব্যবহার করতে হবে না কি যে কোন একটি?৩. পুরুষ ও মহিলার নামাযে কি ভীন্নতা আছে (হাত বাধা, রুকু, সিজদা ইত্যাদি) | স্যারের fb id থাকলে লিংটা জানাবেন
23 Dec 2025
ওয়া আলাইকুমুস সালাম। হ্যাঁ, সফরে থাকা অবস্থায় জামায়াতে ইমামের পিছনে নামায না পড়লে কসর করা আবশ্যক। হযরত আয়েশা রা. বলেন, فُرِضَتِ الصَّلاَةُ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ هَاجَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَفُرِضَتْ أَرْبَعًا وَتُرِكَتْ صَلاَةُ السَّفَرِ عَلَى الأُولَى অর্থ: সালাত দুরাকআত ফরজ করা হয়েছিল। এরপর নবীয়্যুল্লাহ সা. হিজরত করেন। তখন চার রাকআত ফরজ করা হয়। আর সফরের সালাতকে পূর্বের অবস্থায় রাখা হয়। সহীহ বুখারী হাদীস নং.৩৯৩৫। হযরত আয়েশা রা. অন্য হাদীসে বলেন, فُرِضَتِ الصَّلاَةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِى الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِى صَلاَةِ الْحَضَرِ অর্থ: সফর এবং হাদর ( সাধারণ) উভয় অবস্থাতেই সালাত দুই রাকাত করে ফরজ করা হয়েছিল। এরপর সফরের সালাত ঠিক রাখা হয় আর হাদরের (মুকিম তথা সাধারনণঅবস্থার ) সালাতে বৃদ্ধি করা হয়। সহীহ মুসলিম,হাদীস নং ১৬০২। তবে জামায়াতে ইমামের পিছনে নামায পড়লে পুরো নামায পড়তে হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, قَالَ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَلاَ تَخْتَلِفُوا عَلَيْهِ অর্থ: ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাকে অনুস্বরণের জন্য সুতরাং তোমরা তার বিপরীত করবে না। …………. (হাদীসটি অনেক লম্বা। )সহীহ বুখারী, হাদীস নং৭২২। ঢিলা কুলুপের বিষয়ে ৭৬নং প্রশ্নের উত্তরে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পুরুষ ও মহিলাদের নামাযের বিষয়ে ২৮ নং প্রশ্নের উত্তরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। দয়া করে সেগুলো দেখুন। ফেসবুক আইডিটি নিচে দেয়া হল। www.facebook.com/Dr.KhandakerAbdullahJahangir
প্রশ্নঃ 2
ঢাকায় পরীক্ষা দিতে যাব । পরিবেশ ভাল হরে থাকব এবং পরিবেশ খারাপ হলে ঝিনাইদহ চলে আসব। এমতাবস্থায় আমি মুকিম নাকি মুসাফির?
20 Dec 2025
প্রশ্নে বর্ণীত অবস্থায় আপনি মুসাফির। তবে যদি আপনি পনের দিন বা তার বেশি দিন অবস্থানের নিয়ত করেন তাহলে আপনি মুকিম হয়ে যাবেন এবং নামায পূর্ণ করে পড়তে হবে।
প্রশ্নঃ 3
কোন ধরণের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে মুছাফির হওয়া যায় । এবং দুরুত্ব কতটুকু?
20 Dec 2025
প্রশ্নটি করার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হল, আশা করি আপনি তাতে আপনার উত্তর খুঁজে পাবেন। ইনশাল্লাহ। কোন ব্যক্তি যদি ১৫ দিনের কমসময় অবস্থানের নিয়তে কমপক্ষে ৪৮ মাইল(যা কিলোমিটার হিসাবে প্রায় সাড়ে ৭৭ কিলোমিটার) দূরুত্বে গমন করার ইচ্ছাকরে, তাহলে শহরবাসী নিজ শহরের সীমা ও গ্রামবাসী নিজ ইউনিয়ন বা পৌরসভার সীমা অতিক্রম করার পর থেকে মুসাফির বলে গন্য হবে। তখন থেকেই নামাজের কসর সহ মুসাফিরের অন্যান্য হুকুম তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। (শামী-২/৫৯৯-৬০২, হিন্দিয়া-১/১৩৭, আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৯৪-৯৫)
সফরের দূরুত্ব বিষয়ে আলেমদের মাছে কিছুটা মতভেদ আছে তবে গ্রহনযগ্য মতানুসারে ৪৮ মাইল বা সাড়ে ৭৭ কিলোমিটার। এবিষয়ক অধিকাংশ রেওয়ায়েতগুলোতে সফরের দূরুত্বসীমা প্রসঙ্গে আরবাআতু বুরুদ শব্দ (চার বুরদ)এসেছে। আর ৪ বারিদ হল, ৪৮ মাইল যা, কিলোমিটার হিসাবে প্রায় সাড়ে ৭৭ কিলোমিটার। ইমাম মালিক রহঃ থেকে বর্ণীত -
بلغه أن عبد الله بن عباس :كان يقصر الصلاة في مثل ما بين مكة والطائف وفي مثل ما بين مكة وعسفان وفي مثل ما بين مكة وجدة قال مالك وذلك أربعة برد وذلك أحب ما تقصر إلى فيه الصلاة قال مالك لا يقصر الذي يريد السفر الصلاة حتى يخرج من بيوت القرية ولا يتم حتى يدخل أول بيوت القرية أو يقارب ذلك
موطأ مالك ما يجب فيه قصر الصلاة
আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ সম্পর্কে জেনেছি যে, তিনি মক্কা ও তায়েফ, মক্কা ও আসফান, এবং মক্কা ও জিদ্দার সফরে নামাজ কসর করতেন। ইমাম মালেক রহঃ বলেন: এ দূরুত্ব হচ্ছে চার বারীদ। আমার মতে এটাই হচ্ছে কসরের দূরুত্ব। তিনি আরো বলেন: নিজ এলাকার বসতি থেকে বের হওয়ার পর কসর আরম্ভ করবে এবং পুনরায় বসতিতে ফিরে আসার পর পূর্ণ নামাজ পড়বে। ইমাম মালেক, মুয়াত্তা,বাব,মা ইযাজীবু ফীহি ক্বসরুস সালাত। উল্লেখ্য, মক্কা থেকে জিদ্দার দূরুত্ব হল ৭২ কিলোমিটার । মক্কা থেকে তায়েফের দূরুত্ব হল ৮৮ কিলোমিটার এবং মক্কা থেকে আসফানের দূরুত্ব হল ৮০ কিলোমিটার । বুখারীতে এসেছে-
وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ ، وَابْنُ عَبَّاسٍ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُم ، يَقْصُرَانِ وَيُفْطِرَانِ فِي أَرْبَعَةِ بُرُدٍ وَهْيَ سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا. َ.
باب فِي كَمْ يَقْصُرُ الصَّلاَة
অর্থঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ চার বারীদ দূরুত্বের সফরে নামাজ কসর করতেন এবং রোযা না রাখার অবকাশ গ্রহন করতেন। চার বারীদ হল ষোল ফারসাখ। বাব, ফী কাম ইউকসারুস সালাত। তিন মাইল সমান এক ফরসাখ। তাহলে ১৬ ফরসখ = ৪৮ মাইল। অন্য এক বর্ননায় এসেছে:
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سُئِلَ أنقصر ا لصلاة إلَى عَرَفَةَ قَالَ لَا وَلَكِنْ إلَى عُسْفَانَ وَإِلَى جُدَّةَ وَإِلَى الطَّائِفِ2 وَإِسْنَادُهُ صَحِيحٌ
التلخيص الحبير في تخريج أحاديث الرافعي الكبير
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল, আরাফার উদ্দেশ্যে মক্কা ত্যাগ করলে কি পথিমধ্যে কি নামাজ কসর করতে যাবে? তিনি উত্তরে বললেন না। তবে আসফান, জিদ্দা ইত্যাদি স্থানের উদ্দেশ্যে সফর করলে নামাজ কসর করা যাবে। কিতাব,সালাতুল মুসাফীরনি। ইবনে হাজার হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। তালখীসুর হাবীর, ২/৪৬। আল্লাহ আমাদেরকে সব আমল জেনে বুঝে করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
প্রশ্নঃ 4
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা। প্রশ্ন : আমার গ্রামের বাড়ী রাজশাহী শহর হতে ৮০ - ৯০ কিঃমিঃ দূরে। গ্রামে আমার আব্বা-আম্মা ও অন্যান্য ভাইয়েরা বসবাস করে। আমি রাজশাহী শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করি। আমি ও আমার স্ত্রী গ্রামের বাড়ী গেলে নামায আমরা কি কসর করবো না স্বাভাবিক ভাবে পড়বো। কোরআন ও হাদীসের আলোকে বিস্তারিত ভাবে জানাবেন।
20 Dec 2025
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। প্রশ্নটি করার জন্য আল্লাহ আপনাকে পুরুষ্কৃত করুন। নিচে এব্যাপারে আলোচনা করা হল,আপনি তাতে আপনার প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন, ইনশাল্লাহ। আপনি যেহেতু রাজশাহী শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং শহর থেকে আপনার গ্রমের বাড়ীর দূরুত্ব ৮০-৯০ কিলোমিটার তাই আপনি ১৫ দিনের কম সময় অবস্থানের নিয়তে গ্রমের বাড়ীতে গেলে নামাজ কসর করে পড়বেন যদি গ্রামের বাড়িতে আপনার জন্য নির্ধারিত পৃথক কোন ঘর না থাকে। আর যদি পৃথক কোন ঘর আপনার জন্য আপনি করে থাকেন বা আপনার পিতা করে রাখেন তাহলে আপনি পথে মুসাফির থাকবেন এবং গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পরে মুকিম হয়ে যাবেন এবং নামায পূর্ণকরে আদায় করবেন । এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা নিম্নে দেয়া হল। মূল আলোচনা সহজে বুঝার জন্য ভূমিকা স্বরুপ কয়েকটি জরুরী বিষয় জেনে রাখা দরকার। ১) মানুষ যেখানে জন্মগ্রহন করে বা স্থায়ীভাবে বসবাস করে সেটা হলো তার স্থায়ী বাসস্থান বা ওয়াতনে আসলী, আর যেখানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে, হোক পনেরো দিন বা তার বেশি সেটা হল তার ওয়াতনে ইক্বামাত বা অস্থায়ী বাসস্থান। ২) মুসাফির যখন সফর থেকে তার স্থায়ী বাসস্থানে ফিরে আসে তখন ইকামত বা অবস্থানের নিয়ত না করলেও মুকীম হয়ে যায়। ৩) যদি কেউ স্থায়ী বসবাসের স্থান ত্যাগ করে অন্য কোথাও স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে তাহলে সেটাই তার স্থায়ী বসবাসের স্থানের হিসাবে গন্য হবে এবং নামাজ পূর্ণভাবে আদায় করতে হবে। এবং আগের ওয়াতনে আসলী বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং আগের ওয়াতনে আসলী বা স্থায়ী বসবাসের স্থানে পনের দিনের কম সময়ের জন্য বেড়াতে গেলে সেখানে ব্যক্তি মুসাফির হিসাবে গন্য হবে এবং কসর পড়তে হবে। ৪) যদি ব্যাক্তি ওয়াতনে ইকামত বা অস্থায়ী অবস্থান স্থান থেকে সফর করে বা আরেকটি অবস্থানস্থান গ্রহন করে অথবা পূর্বের স্থায়ী বাসস্থানে ফিরে আসে তাহলে আগের অস্থায়ী বাসস্থান বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং আগের ওয়াতনে ইকামতে অল্প সময়ের জন্য ফিরে এলে কসর পড়তে হবে। কসরের দূরুত্বসীমা সফর বিষয়ক অধিকাংশ রেওয়ায়েতগুলোতে সফরের দূরুত্বসীমা প্রসঙ্গে আরবাআতু বুরুদ শব্দ (চার বুরদ)এসেছে। আর ৪ বারিদ হল, ৪৮ মাইল। ইমাম মালিক রহঃ থেকে বর্ণীত - بلغه أن عبد الله بن عباس :كان يقصر الصلاة في مثل ما بين مكة والطائف وفي مثل ما بين مكة وعسفان وفي مثل ما بين مكة وجدة قال مالك وذلك أربعة برد وذلك أحب ما تقصر إلى فيه الصلاة قال مالك لا يقصر الذي يريد السفر الصلاة حتى يخرج من بيوت القرية ولا يتم حتى يدخل أول بيوت القرية أو يقارب ذلك موطأ مالك ما يجب فيه قصر الصلاة আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ সম্পর্কে জেনেছি যে, তিনি মক্কা ও তায়েফ, মক্কা ও আসফান, এবং মক্কা ও জিদ্দার সফরে নামাজ কসর করতেন। ইমাম মালেক রহঃ বলেন: এ দূরুত্ব হচ্ছে চার বারীদ। আমার মতে এটাই হচ্ছে কসরের দূরুত্ব। তিনি আরো বলেন: নিজ এলাকার বসতি থেকে বের হওয়ার পর কসর আরম্ভ করবে এবং পুনরায় বসতিতে ফিরে আসার পর পূর্ণ নামাজ পড়বে। ইমাম মালেক, মুয়াত্তা,বাব,মা ইযাজীবু ফীহি ক্বসরুস সালাত। উল্লেখ্য, মক্কা থেকে জিদ্দার দূরুত্ব হল ৭২ কিলোমিটার । মক্কা থেকে তায়েফের দূরুত্ব হল ৮৮ কিলোমিটার এবং মক্কা থেকে আসফানের দূরুত্ব হল ৮০ কিলোমিটার । বুখারীতে এসেছে- وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ ، وَابْنُ عَبَّاسٍ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُم ، يَقْصُرَانِ وَيُفْطِرَانِ فِي أَرْبَعَةِ بُرُدٍ وَهْيَ سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا. َ. باب فِي كَمْ يَقْصُرُ الصَّلاَة অর্থঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ চার বারীদ দূরুত্বের সফরে নামাজ কসর করতেন এবং রোযা না রাখার অবকাশ গ্রহন করতেন। চার বারীদ হল ষোল ফারসাখ। বাব, ফী কাম ইউকসারুস সালাত। তিন মাইল সমান এক ফরসাখ। তাহলে ১৬ ফরসখ = ৪৮ মাইল। অন্য এক বর্ননায় এসেছে: عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سُئِلَ أنقصر ا لصلاة إلَى عَرَفَةَ قَالَ لَا وَلَكِنْ إلَى عُسْفَانَ وَإِلَى جُدَّةَ وَإِلَى الطَّائِفِ2 وَإِسْنَادُهُ صَحِيحٌ التلخيص الحبير في تخريج أحاديث الرافعي الكبير আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল, আরাফার উদ্দেশ্যে মক্কা ত্যাগ করলে কি পথিমধ্যে কি নামাজ কসর করতে যাবে? তিনি উত্তরে বললেন না। তবে আসফান, জিদ্দা ইত্যাদি স্থানের উদ্দেশ্যে সফর করলে নামাজ কসর করা যাবে। কিতাব,সালাতুল মুসাফীরনি। ইবনে হাজার হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। তালখীসুর হাবীর, ২/৪৬। আর কিলোমিটারের হিসাবে ৪৮ মাইল প্রাই সাড়ে ৭৭ কিলোমিটারের সমান। কসরের সময়সীমা এব্যাপারে উলামায়ে কেরামের মাঝে মতবিরোধ আছে। তবে গ্রহনযগ্য মত হল, সফরে কোন স্থানে পনেরো দিন বা তার বেশি সময় অবস্থানের নিয়ত করলে পূর্ণ নামাজ পড়বে। আর যদি পনের দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করে তাহলে কসর করবে। যদি এমন হয় যে, সুনির্দিষ্টভাবে কত দিন অবস্থান করবে তা নির্ধারন করা সম্ভব হল না। আর আজ যাব, কালা যাব করতে করতে পনের দিনের বেশি অতিবাহিত হয়ে গেল তবুও কসরই করতে থাকবে। আলমুগনী গ্রন্থে এসছে: عَنْ ابْنِ عُمَرَ ، وَابْنِ عَبَّاسٍ ، أَنَّهُمَا قَالَا : إذَا قَدِمْتَ وَفِي نَفْسِكَ أَنْ تُقِيمَ بِهَا خَمْسَ عَشْرَةَ لَيْلَةً فَأَكْمِلْ الصَّلَاةَ . অর্থঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, যদি তুমি কোন স্থানে পনেরো দিন অবস্থানের নিয়ত কর তাহলে পূর্ণ নামাজ আদায় করবে। কিতাব,সালাতুল মুসাফীরনি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ থেকে বর্ণীত তিনি বলেন; من أقام خمسة عشر يوما أتم الصلاة যে পনের দিন অবস্থানের নিয়ত করল সে পূর্ণ নামাজ আদায় করবে জামে তিরমিযীতে, বাব, কাম তুকসারুস সালাত, তাহকীক, আহমাদ শাকের এবং আলবানী। কোন জায়গা থেকে কসর শুরু করব? মুসাফরি যখন শহররে মহল্লা বা গ্রামরে সীমানা অতক্রিম করবে এবং শহররে আবাসকি বাড়ঘির ছেড়ে যাবে তখন থেকে নামায কসর করতে পারবেন। কেননা নবী (সা.) মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় মাদীনার বাইরে জুলহুলায়ফা নামক স্থানে এসে কসর পড়েছেন। হাদীসে এসেছে হজরত আলী (রা.) বসরা থেকে সিফ্ফিনের উদ্দেশ্যে বের হলেন তিনি জোহর পড়লনে চার রাকাত। তারপর বললনে, আমরা যদি এ বাড়িটি অতিক্রম করতাম তবে দুই রাকাতই পড়তাম। (মুসান্নাফু আবি শাইবা : ৮২৫৩, তাহজবিুল আছার : ১১৭২, মুয়াত্তা মালকে, আছারুস সুনান : ৬৪/২)। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকভাবে দ্বীন মানার তাওফীক দান করুন। আমীন।